শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১২

দুর্বলদের পাশে দাঁড়ানোই মানবতা

পরপর ঘটে যাওয়া দুইটি ঘটনায় মনটা প্রচন্ড বিষন্ন হয়ে আছে। প্রথমটি কমলগঞ্জে মণিপুরি শিক্ষক রবীন্দ্র কুমার সিংহের খুন হওয়া। পুজামন্ডপ থেকে ফেরার পথে স্ত্রী ও দুই শিশুর সামনে সিএনজি থেকে নামিয়ে গুলি করে মারা হয় রবীন্দ্রকে। ছেলেটি জামার পকেট থেকে পুজায় জমানো ৪০ টাকা বের করে মুখোশধারী সন্ত্রাসিদের দিয়ে বলে এগুলো নিয়ে তার বাবাকে ছেড়ে দিতে। ছোট ছেলেটির আব্দার সন্ত্রাসীরা রাখবে কেন? দ্বিতীয়টি রাউজানে মারমা নারীর ধর্ষিত হওয়া। হলদিয়া রাবার বাগান এলাকায় স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই গর্ভবতী মারমা নারীটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে যুবলীগের ৪ সন্ত্রাসী। রাস্তাঘাট বেডরুম দুই জায়গাতেই নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ রাষ্ট্রের ভুমিকা নিয়ে কথা বলতে গেলে কিছু নাগরিক হয়তো প্রশ্ন তুলবেন এরকম ঘটনা তো দেশের সবখানেই অহরহ ঘটছে সেসব নিয়ে বিমর্ষ হন না কেন। সংখ্যাগরিষ্ট ও সংখ্যালঘু, নিপীড়ক ও নিপীড়িত, জাতি ও উপজাতি, সবল ও দুর্বল পার্থক্যগুলো তো রাস্ট্রই ঠিক করে দিয়েছে ভাই। আমরা নিজেরা না বললে কে এসে বলে দেবে আমাদের দুঃখ-কষ্ট-গঞ্ছনা-দুর্দশার কথা? দুর্বলদের পাশে দাঁড়ানোই তো মানবতা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন