শুক্রবার, ২৪ আগস্ট, ২০১২

চা শ্রমিক


যুগ যুগ ধরে অবহেলা আর লাঞ্চনার বোঝা মাথায় নিয়ে অবিশ্বাস্য জীবন যাপন করছে চা শ্রমিক জনগোষ্ঠি। ভোর না হতেই যে মানুষগুলো মাথায় ঝাঁকা নিয়ে দলবেঁধে চা বাগানে ছুটে যায়, সারাদিন পরিশ্রম করে খুপড়িতে ফেরার আগে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় মাত্র ৪৮ টাকা। মাসিক আয় সাকুল্যে ৪৮X ৩০= ১৪৪০ টাকা। এই আয় দিয়ে চা-বাগানের খুপড়ির মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে সংসার চালাতে হয় এক জন চা শ্রমিককে। সৈয়দ মুজতবা আলীর গল্পে পন্ডিত পরিবারটি লাট সাহেবের তিন ঠ্যাংঅলা কুত্তার এক ঠ্যাঙের সমান ছিল। আর আমাদের চা শ্রমিকেরা এই কয়েক যুগে ঐ কুত্তাটির একটি লোমেরও সমান হয়ে উঠতে পারেনি!

শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১২

ওড়না পেজ

জলপাইগুড়ি জেলায় সাহেবগঞ্জ শহরের নিকট বাবার মাজারে কলিযুগে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল। ঐ মাজারে খাদেম নামের এক লোক দেখল হঠাৎ লেংটা মা-কালী বের হলেন। উনাকে দেখে খাদেম খুব ভয় পেয়ে গেলেন। তখন মা-কালী বুকে ওড়না দিতে দিতে বললেন,ভয় পেও না,আমি যা বলছি মন দিয়ে শুন। কলিযুগে পাপ বেড়ে গেছে,এই পাপিদের ধ্বংস করার জন্য আমি পৃথিবীতে জন্ম নেব। যে আমার নামে ফেসবুকে একশটা ওড়না পেজ বানিয়ে প্রচার করবে তাহার মনের ইচ্ছা ২৪ দিনের মধ্য পূরন করবো। যে আজ কাল করে ২৪দিন কাটিয়ে দিবে তাহার খুব লোকসান হবে। এই কথা বলে কালী মা চলে গেলেন। এই কথা বিশ্বাস করে মমিন নামের এক লোক ১০০টা ওড়না পেজ খুলে লাইক ভিক্ষা করতে থাকলো। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সে নগদ ৫১ লক্ষ টাকা পেয়ে গেল। আরেক ওড়না পেজের এডমিন ২৮৫টি ফেক একাউন্ট খুলে ঐ পেইজে লাইক মারায় ৮দিন পরে, মাটি খুড়ে সে একটি সোনার কলসী পেয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে। একজন গরিব ছাত্র ফেসবুকে একটি ওড়না পেজ খুলবে বলে গুগল থেকে দক্ষিনি নায়িকাদের ছবি ডাউনলোড করতেই,তার চাকরি হয়ে গেল। একজন লোক মিথ্যা মনে করে ঐ পেইজটি ব্লক করে রাখে,পরে তার অনেক ক্ষতি হয় এবং তার চাচা মারা যায়। আরেকজন ঐ পেইজে অনেক ওড়না ছাড়া তরুণীদের লেংটা ছবি দেখতে থাকে অথচ লাইক করে না, এভাবে এক মাস অবধি বিলম্ব করায় তার হোগা উধাও হয়ে যায় এবং তার বউ মারা যায়। ধানতলা গ্রামে ৫ জন মিলে ১৫০টি ওড়না পেজ খুলায় এক ঘন্টার মধ্য ১৫ লক্ষ লটারিতে পেল। এখন তারা একটি মাজার করবে ভাবছে। সকলের কাছে আমার বিনীত নিবেদন এই যে,অবহেলা করবেন না, প্রচার করলে অবশ্যই ফল পাবেন।