বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১২

বিজ্ঞানপত্রিকা

আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগে বাংলা ভাষায় ছোটদের বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য জগদীশচন্দ্র বসু লিখেছিলেন 'অব্যক্ত' । লিখেই প্রথমে দেখান রবীন্দ্রনাথকে। তো বইটি পড়ে রবিবাবু বললেন, তোমার লেখা পড়ে মনে হয় সাহিত্য করলে তুমি বোধহয় ভাল করতে। ঐটা ছিল রবীন্দ্রনাথের উপদেশ। এ থেকে বোঝা যায় উপনিবেশিক আমল থেকে আমাদের মনন জগতের রূপান্তরটা কিভাবে ঘটেছে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের আদর্শ হয়ে উঠলেন; পদ্য লেখা, গানটান গাওয়া এগুলিও আমাদের আদর্শ হয়ে উঠল। আমাদের তরুনদের মধ্যেও বিজ্ঞানী হওয়ার চাইতে বরং অন্যকিছুর দিকেই বেশী আগ্রহ তৈরী হল, যারা বিজ্ঞানের সাথে জড়িত তারাও ছদ্মবিজ্ঞানের টাচ দেয়া রূপকথা বা কল্পকাহিনীর লেখার দিকে ঝুকে পড়ল। আমরা একজন গায়ক, অভিনেতা, টিভি সিরিয়াল লেখক বা চটুল ব্লগ লেখককে যেরকম মুল্যায়ন করি, কিন্তু একজন বিজ্ঞান লেখককে তা করি না বরং আতেঁল বলে ট্যাগিং দেই বা ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখি। যে কাজটা সমাজের জন্য দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কোন না কোন কারণে তার কদর ও স্বীকৃতি কমে গেছে। অথচ পঞ্চাশ বা একশ বছর আগে বিজ্ঞানের উপর কত ভাল ভাল কাজ হয়েছে। প্রতিদিন আমাদের নোংরা শহরগুলো থেকে অসংখ্য ঝকঝকে সুন্দর মনোহর রুচিশীল সাহিত্যপত্রিকা বা সিনেম্যাগাজিন বের হয়, অথচ একটা মানসম্পন্ন বিজ্ঞানপত্রিকা বের হয় না!

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

শফিক রেহমান

ট্রেনে যেতে যেতে শফিক রেহমানের 'মৌচাকে ঢিল' পড়ছি। লোকটার জন্যে করুনা হচ্ছে। এখন সব লেখা মনে হয় নিজেই লেখে। বাংলা সিনেমার গল্প দিয়ে পত্রিকা ভরিয়ে ফেলেছে। গল্পের নামগুলোও সেরকম- চরিত্রবান প্রতারক, ভুল বুঝা, ঠকবাজের কন্যা, সত্য গোপন, প্রতারক নং ১... আর বরাবরের মতো ভুঁয়া নামে তার নিজের রচিত যৌন নীপিড়নের শিকার নারীদের ফ্যান্টাসি পর্ণ স্টোরি তো আছেই। ভিকটিমের মুখে এরকম রগরগে যৌনতার বিবরন কেবল শফিক রেহমানের পক্ষেই সম্ভব। এ ধরনের লেখাগুলো সাধারনত শেষ হয় এভাবে - 

" সংসারের দিকে তাকিয়ে আজো আমি নরপশুটির কুকর্ম সহ্য করে যাচ্ছি..."

:)