রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১০

কেড়কেড়া



বর্ণাঢ্য কার্ত্তিক মাসে মণিপুরিদের অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হলো 'কেড়কেড়া' বা আকাশপ্রদীপ। সন্ধ্যার পর উঠানের কোণে লম্বা বাঁশের তৈরী কেড়কেড়া উচু করে উত্তোলন করার নিয়ম।

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

কমনওয়েলথ গেমসে মণিপুরি মেয়েদের সাফল্য

Photo: কমনওয়েলথ গেমসে মণিপুরি মেয়েরা সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে! রেণুবালা চানু ও বোম্বেলা লেইস্রাম স্বর্ণ জিতেছেন আর সোনিয়া চানু জিতেছেন রৌপ্য। এপর্যন্ত ২টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য এবং ৩টি ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছে মণিপুরি মেয়েরা। 'নন-মেইনস্ট্রীম' আর 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' আখ্যা দিয়ে দীর্ঘকাল বিমাতাসুলভ আচরন প্রদর্শনকারি রাস্ট্র এখন বলছে ওরা 'ভারতীয়'!!! রাস্ট্রীয় উদ্যোগে শোষন, দমন আর নিপীড়ন চালানোর সময় এই কথা মনে থাকলেই হয়... 
 

কমনওয়েলথ গেমসে মণিপুরি মেয়েরা সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে! রেণুবালা চানু ও বোম্বেলা লেইস্রাম স্বর্ণ জিতেছেন আর সোনিয়া চানু জিতেছেন রৌপ্য। এপর্যন্ত ২টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য এবং ৩টি ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছে মণিপুরি মেয়েরা। 'নন-মেইনস্ট্রীম' আর 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' আখ্যা দিয়ে দীর্ঘকাল বিমাতাসুলভ আচরন প্রদর্শনকারি রাস্ট্র এখন বলছে ওরা 'ভারতীয়'!!! রাস্ট্রীয় উদ্যোগে শোষন, দমন আর নিপীড়ন চালানোর সময় এই কথা মনে থাকলেই হয়...।

বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০১০

এগিয়ে চলেছে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার উইকিপিডিয়া...



মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়াতে বিশ্বের ২৭২টি ভাষার মধ্যে বাংলাদেশের একটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাষা অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ভাষাটির নাম বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী। বাংলাদেশের সিলেট, মৌলবীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৬০,০০০ সংখ্যালঘু জাতিসত্তা এ ভাষায় কথা বলে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের উত্তরপুর্বাঞ্চলের আসাম, ত্রিপুরা ও মণিপুরে এবং বার্মায় বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি জাতির লোক বাস করে।

রাষ্ট্রশক্তির অবহেলা, প্রবঞ্চনা ও দমননীতির কারণে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর প্রভাবে ক্রমশ তাদের ভাষা এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি বিলুপ্ত হতে চলেছে। ভারত ও বাংলাদেশে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিরা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে। সুদীর্ঘ সংগ্রাম , রক্তপাত এবং জীবন আত্মত্যাগের বিনিময়ে ভারত সরকার ভাষাটিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার কোন সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই, পাঠ্যপুস্তক এবং বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ বলে প্রচারিত বাংলাপিডিয়ায় বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের কোন উল্লেখই নেই। সেকারণে মাতৃভাষার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং বিলুপ্তি থেকে মাতৃভাষাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী উইকিপিডিয়া'র যাত্রা এবং তারপর আজকের অবস্থানে পৌঁছানো বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের জন্য একটি বিরাট অর্জন।

বর্তমানে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি উইকির নিবন্ধ সংখ্যা ২৪,৭৪২ টি (প্রতি নিবন্ধে গড়ে ৪৭৪০টি অক্ষর) এবং নিবন্ধসংখ্যার বিচারে এর অবস্থান বিশ্বের ২৭২টি ভাষার মধ্যে ৬৮তম

আমাদের লোকবল খুবই কম কারণ বাংলাদেশ বা ভারতের যে সব অঞ্চলে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিরা বসবাস করেন সেসব এলাকায় টেলিযোগাযোগ বা ইন্টারনেট প্রযুক্তি এখনো পৌঁছায়নি। সংখ্যায় বেশী হওয়া সত্ত্বেও ভারতের ব্যবহারীরা ইউনিকোডতো দুরের কথা, বিজয় বা মুনীর কীবোর্ডের সাথে পরিচিত নয়। সেখানে ডিটিপির জন্য আসামীজ কীবোর্ড ব্যবহৃত হয় যা আমাদেরগুলি থেকে সম্পুর্ণ আলাদা।

অল্প সংখ্যক ব্যবহারকারির উৎসাহ ও পরিশ্রমের ফলে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি উইকি আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে। বিশেষ করে উদ্যোক্তা উত্তম সিংহ এর পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি ডাটাবেজ ও বটস্ক্রীপ্টের সফল ব্যবহার করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর একাই কয়েক হাজার ভূক্তি যোগ করেছেন। বর্তমানে এ প্রজেক্টের জন্য কোয়ালিটি গবেষক, অনুবাদক ও ভলান্টিয়ার যোগাড় করা হচ্ছে যারা BPY উইকির নিজস্ব নিবন্ধ (যেমন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়ক) লেখার পাশাপাশি রোবট স্ক্রিপ্ট দিয়ে করা প্রাথমিক মডেল বা খসড়াগুলোতে কাজ করতে পারেন।

সকল মাতৃভাষা বেঁচে থাকুক।

সহায়ক লিংকঃ
বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী উইকিপিডিয়া - http://bpy.wikipedia.org
শিখুন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী - http://somewhereinblog.net/blog/kungothangblog/28771374
A tutorial on Bishnupriya Manipuri - http://www.manipuri.freeservers.com/learn.html