রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১১

উপজাতি বা আদিবাসী ক্যাটাগরিগরন বিষয়ে



Photo: Mro, Bandarban.
© Kabirul Islam

উপজাতি বা আদিবাসী এইরকম ক্যাটাগরিকরনের ধারনার সাথে ব্যাক্তিগতভাবে আমি একমত নই। এরকম ক্যটাগরিকরনে অনেকেরই জাতিগত পরিচয় বিলীন হয়ে যায় কারণ প্রত্যেক জাতিরই নিজস্ব জাতিগত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শ্রেনীকরনের সাথে শোষনের একটা যোগসূত্র আছে; দুর্বলদের একটা ক্যাটাগরিতে নিয়ে ফেলতে পারলে শোষনপ্রক্রিয়া সহজ হয়। বাঙালি আগে ছিল একাই একশো, মানে জাতি; আর বাকি যারা তারা ছিল সব উপজাতি। এখন সময় সুযোগ বুঝে তারা হতে যাচ্ছে আদিবাসী, আর বাকীরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি। কিন্তু এখানে বাঙালির সাংষ্কৃতিক বা ভাষিক পরিচয়টা আর থাকলো না, হয়ে গেল পুরোপুরি স্থানকেন্দ্রিক। মনস্তত্বটি এমন - এই্ স্থানে আমরা আগে এসেছি ,আমরা সংখ্যাগুরু, তাই্ এখানকার সবকিছুই আমাদের, এবং সবকিছু আমাদের কথামতোই চলবে।

রাস্ট্র নিজে কখনই নন-মেইনস্ট্রীমদের স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের অধিকার ফধিকারের দিকে নজরও দেয়নি। এখন যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঝুকিগ্রস্থ দুর্বল জনগোষ্ঠিদের বিষয়ে কিছুটা সচেতনতা তৈরী হচ্ছে, তখন রাস্ট্র তা সহ্য করতেই পারছেনা, বরং বাধা দিচ্ছে। উপরন্তু এ থেকে বাড়তি সুবিধা ও ফায়দা লুটার উদ্দেশ্যে নিজেই আদিবাসী সাজার চেষ্টায় আছে।

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১১

সিলেটিরাই সর্বপ্রথম বাংলাকে মাতৃভাষা করার দাবী তোলে

বৃটিশ ভারতে সিলেটিরাই সর্বপ্রথম বাংলাকে মাতৃভাষা হিসাবে মর্যাদা দেয়ার দাবী জানায়। ১৯২৭ সালে আসাম প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার রণকেলী গ্রামের আবদুর হামিদ চৌধুরী (সোনা মিয়া) একটি মামলার আসামী দারোগার শাস্তি সম্পর্কে জানতে চেয়ে বাংলা ভাষায় প্রশ্ন করেন। মামলাটি ছিল ১৯২২ সালে গোলাপগঞ্জ থানার মাইঝভাগ গ্রামে মগফুর আলীর বাড়িতে সংঘটিত ছিন্ন কোরাণ সম্পর্কিত। জনাব সোনা মিয়ার প্রশ্নের জবাবে পরিষদের জুডিশিয়াল মেম্বার বলেন, বাংলা ভাষায় প্রশ্ন করলে এর উত্তর দেয়ার বিধান আইনে নাই। তখন সিলেটের সব সদস্য রুখে দাঁড়ান। তারা দাবী জানান মাতৃভাষায় কথা বলা মানুষের জন্মগত অধিকার। সিলেট বিভাগ সেসময় আসাম প্রাদেশিক পরিষদের অংশ ছিল। একই বছর (১৯২৭ সালে) সরকার বাংলা ভাষাকে আসাম প্রাদেশিক পরিষদের ভাষা হিসেবে যুক্ত করেন ।


তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া(২০০৬), সিলেট বিভাগ পরিচিতি (২০০১), মণিপুরি থিয়েটারের পত্রিকা (২০০৭)