সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১১

সংবিধান ও আদিবাসি

১.
সংবিধানের নাগরিকত্ব অনুচ্ছেদ ৬-এর (২) সংশোধিত আওয়ামী ভার্সনে বলা হয়েছে - “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশি বলিয়া পরিচিত হইবেন"। মহান রাস্ট্রের মহান শাসক ও অধিকর্তা জনরা কি একটু বুঝিয়ে দেবেন আমি কুঙ্গ থাঙ কিভাবে বাঙালি জাতিভুক্ত হলাম? নাকি 'বাংলাদেশের জনগন' পরিচিতির মধ্যে আমাকে গননাই করা হয়না?


২. 
রাস্ট্রযন্ত্রের চালকরা বলে এসেছে দেশে কোন আদিবাসী নেই, সংবিধান সংশোধনী বিলে তাই প্রতিফলিত হয়েছে। এতোদিন উপজাতি শব্দটি অনেকের কাছে পছন্দনীয় না হওয়ায় আদিবাসী শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। এখন সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে শুরু করে সবাই ‘আদিবাসী’ শব্দটির নতুন অর্থ বের করার চেষ্টা করছে। আদিবাসী পরিচিতির সাথে আদিবাসের সম্পর্ক খোঁজাও একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার অংশ। এই বিশেষ প্রক্রিয়াজনিত উদ্দেশ্যটি কী তা সহজেই বুঝা যাচ্ছে। 

৩. 
ঙালি জাতীয়তাবাদ বিষয়ে অনুচ্ছেদ ৯- এ বলা হচ্ছে, ‘ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করিয়াছেন, সেই বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হইবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।’

তার মানে দাঁড়ালো 'একক সত্তাবিশিষ্ট বাঙালি জাতি' বাদে আর কেউ 'ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ' ছিল না বা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাওতাল, মনিপুরি, চাকমা, ত্রিপুরা, হাজং, গারোসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু জনগোষ্টির সক্রিয় অংশগ্রহন এবং শত-সহস্র আদিবাসী শহীদ মুক্তিযোদ্ধর রক্তের কোন মুল্য থাকলো না রাস্ট্রের কাছে?